মুশফিক আর ফারহান সিনেমা

 সব গল্পেই ফারহান কে মানায়।

সব গল্পেই ফারহান কে মানায়।

                                                                    হ্যালো বন্ধুরা।
কেমন আছেন সবাই ।আশা করি অবশ্যই ভাল আছেন।আমাদের বাংলাদেশে অন্য কিছু ভালো লাগুক,
বা না লাগুক।কিন্তু নাটক আমাদের খুবই জনপ্রিয়। তবে ছোট পর্দার অনেক অভিনেতায় আছেন যাদের নাটক আপনি আসামাত্রই দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। তার মাঝে অনেক অভিনেতায় আছে। 
তবে সবচাইতে ভালো লাগার অভিনেতা হচ্ছেন মুশফিক আর ফারহান।শফিক আর ফরমান এর নাটক কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। কারণ তার অভিনয় একবারের নিখুঁতভাবে করা হয়। সে চাই তার ভক্ত দের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। এবং তার ক্যারেক্টার এই জন্যই বারবার চেঞ্জ করতে থাকে। 

একই ক্যারেক্টারে মুশফিক আরফান কখনোই নাটক করতে চান না। সেরকমই কিছু গল্প নিয়ে মুশফিক আর ফারহানের পাঁচটি নতুন নাটক আপনাদেরকে দেখাবো।অবশ্যই ভিডিওটি একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখবেন। তো চলুন বেশি বকবক না করে শুরু করি আমাদের আজকের নতুন আরেকটি পর্ব

লেকু।
লেকু নাটকটি মোঃ মাহিনের পরিচালিত এবারের নতুন নাটক। নাটকে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান এবং সামিরা খান মাহি। এই নাটকের গল্পটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। গল্পটা এমন, গ্রামের একজন সহজ সরল ছেলে। তাকে তার পরিবারের সবাই বিয়ে করিয়ে দেয়। এবং তাদের সেই সুখের সংসার খুব ভালোভাবেই চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি প্রবলেম দেখা দেয়। ফারহান হঠাৎ করেই রাতের বেলা হয়ে যায় পাগল।তবে তার পাগল হওয়ার ঘটনা তার পরিবারের সবাই জানতো। কিন্তু মাহিকে সেসব কথা আগে জানানো হয় নাই।তারপরেও সমস্যা নাই। কিন্তু সেখানে বড় সমস্যা হয় সেই গ্রামের চেয়ারম্যান ফারহানের বউকে অনেক পছন্দ করে ফেলে। একটু দুষ্ট প্রকৃতির পছন্দ। তারপরে সেখান থেকে তাকে জোর করে বিয়ে করে ফেলে। তারপর আসলে কি ঘটে সেটা আপনারাই দেখে নিতে পারবেন। নিচের ডেসক্রিপশন বক্সে লিংক দেওয়া আছে ।সেখান থেকে ক্লিক করে দেখে নিবেন। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে নাটকের গল্প এবং অভিনয়। আর মুশফিক ফারহান তো এই গল্পের সাথ একেবারেই মিশে গিয়েছে। এই নাটক দেখলে আশা করি অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে।

মাই ডিয়ার লিডার।
মুশফিক আর ফারহানের নাটক প্রতি সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে। এ সপ্তাহের নাটক মাই ডিয়ার লিডার। এই নাটক টি আমার কাছে মোটামুটি ভালই লেগেছে। রাজনীতি লাভ এবং রোমান্স সবকিছুই এক নাটকেই আপনি পেয়ে যাবেন। একজন নেতার প্রেমে স্কুল ছাত্রী। গল্পটা অসাধারণ। কিন্তু নেতা তাকে একদমই পছন্দ করে না। হঠাৎ করে এই গল্পে অন্য একটা টুইস্ট ঘটে। এবং সেই নেতা ও তার প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়। অসাধারণ একটি গল্প অসাধারণ তাদের অভিনয়। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান এবং নাজনীন নিহা। তবে এখানে আমার কাছে নায়িকার অভিনয় তেমন একটা ভালো লাগে নাই। তারপরেও যেহেতু মুশফিক আর ফারহান আছে অবশ্যই ভালো লাগবে। চাইলে দেখে নিতে পারেন মাই ডিয়ার লিডার। আশা করি আপনার একটুও সময় নষ্ট হবে না।

মনের মানুষ।
তৌসিফ মাহমুদ আমাদের অনেক আগের অভিনেতা। তার অভিনয় আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু এবারের জুটি অন্যরকম। তৌসিফ মাহমুদের সাথে কেয়া পায়েল। সব সময়ই মুশফিক আর ফারহানের সাথে কেয়া পায়েল কে দেখতে পাই আমরা। কিন্তু এবার তৌসিফ মাহবুবের সাথে তার জুটি অসাধারণ লেগেছে। মনের মানুষ গল্পটা প্রেম রোমান্টিক এবং বিচ্ছেদ গল্প দিয়ে ভরপুর। গল্পে পাশের বাড়ির মেয়ের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক। তারপর বিচ্ছেদ রোমান্স সবকিছু এই গল্পের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন। শেষের দিকে মেয়েটা তাকে ধোকা দিয়ে দেয় ।এবং সে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যায়। গল্পের মধ্যে টুইস্ট অবশ্যই আছে। সেটা আমার কাছ থেকে না শুনে সরাসরি আপনি ডেসক্রিপশন বক্স থেকে লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। আশা করি অবশ্যই অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে এই গল্প। তার মাঝে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব অনেক পুরনো একজন অভিনেতা। কেয়া পায়েলের কথা আর কি বলব সে তো আপনারাই জানেন। হাইলি রিকুমেন্ট থাকলে এই গল্পটি অবশ্যই আপনারা দেখবেন।

অবাক কান্ড।
এই গল্পটা একটু কমপ্লিকেটেড। গল্পের কাহিনী এক দিনের মধ্যেই হয়। ইয়াস রোহান আমার কাছে খুব জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। তার সমস্ত নাটক আমি দেখি। তার গল্প গুলোর মধ্যে তার চরিত্র একদম মিশে যায়। আর এই গল্পের সাথে জাতির ক্রাশ তানজিম সাইরা তটিনি। এবং ইয়াস রোহান ফুটিয়ে তুলেছে এই গল্প।বিকাশ নাম্বারে ভুল করে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া। এবং বিয়ের আসর থেকে মেয়ে পালিয়ে আসা সেখানে আরেকজন রিপোর্টার পাশা ভাই। তাদের তিনজনের গল্প অসাধারণ একটা মিক্সিং হয়েছে। অবশ্যই অবশ্যই এই নাটকটি আপনি দেখবেন।আশা করি ভালো লাগবে। এবং এই নাটক টি ও এ সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে।

সাক্ষী।
আমাদের খুবই জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিমের সাক্ষী নাটকে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল ‌।এবং মুকিত জাকারিয়া। গ্রামের কুবি সহজ সরল একজন ছেলে। কোন না কোন কারণের জন্য তার মুখে তোতলামি ভাষা চলে আসে। এবং গ্রামের সবাই তাকে সাক্ষী মানে‌।কারণ সে কোন সময় মিথ্যা কথা বলে না। সেখানে তার এক বন্ধু পড়ে যায় বিপদে।এবং সাক্ষী দেয়ার জন্য তাকেই প্রস্তুত করা হয়।কিন্তু তার তোতলামির কারণে তার সাক্ষী ভালো করে দিতে পারে না। তাই তাকে ভালো একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় ।সে ডাক্তার আমাদের খুব প্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। কিন্তু এই গল্পেও শেষের দিকে খুব করুন কাহিনী।আসলে গরিব মানুষকে কেউই পছন্দ করে না। সেই ডাক্তারের মিষ্টি মিষ্টি কথা চলে।সেই সরল ছেলেটি কে প্রেমে ফেলে শেষে ধোঁকা দিয়ে চলে যায়। আর শেষ পর্যন্ত সেই ছেলেটি পাগল হয়ে যায়। অসাধারণ একটি গল্প ।তার সাথে অভিনেতা মোশারফ করিমের অভিনয় চমৎকার হয়েছে। আশা করি দেখতে পারেন অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে।

সেই সাথে শেষ করছি আমাদের আজকের এই পর্ব। এখান থেকে কোন নাটকটি আপনার সবচাইতে বেশি প্রিয় ‌।তা অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url