মৃত্যুর পূর্বে শেষ কয়েক ঘন্টায় সাদ্দামের সাথে কি হয়েছিল !! The story of Iraqi President Saddam !!

  মৃত্যুর পূর্বে শেষ কয়েক ঘন্টায় সাদ্দামের সাথে কি হয়েছিল !! The story of Iraqi President Saddam !!



কেন ঈদের দিন সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল ?

ফাঁসি কার্যকরকারী স্টিভ হাচিনসন কে গলায় রশি পড়ার পূর্বে সাদ্দাম হোসাইন একটি কুপন উপহার দিয়ে যান, কি ছিল সেই উপহারটা ? 

আর কেনই বা সেই উপহার পেয়ে প্রচন্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তাকে গ্রেপ্তার করা আমেরিকান সৈন্যরা !

মৃত্যুর পর কারা সাদ্দামের লাশের উপর থুতু ছিটিয়ে ছিল ?

কেন সাদ্দামের মৃত্যুর পর মার্কিন সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেয় সাদ্দামের ঘাতক হাসিন সন ।

 আমেরিকা কখনোই সেইসব ইতিহাস পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চাইনি ! কিন্তু মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি বার্ডেন ওয়ার পার ! যে এসবের প্রত্যক্ষ দোষী । 

প্রিয়দর্শক সাদ্দামের মৃত্যুর পূর্বে বলে যাওয়া শেষ কথাগুলো জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।

তিনি বলেন, আমি আদালতের মৃত্যুদণ্ডকে ইরাকি জুতার চেয়ে কম কদর করি । আমি ফাঁসির ধরি গলায় নিয়ে ভীতু নয় ।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার পুরো দেশকে আঘাত করা হয়েছে , আমাকে আঘাত করা হয়েছে, আমার সংগীদের টর্চার করা হয়েছে, 

আমার সঙ্গী আবু নাদিয়ার হাড্ডি পর্যন্ত বের করে ফেলেছে মারতে মারতে এই সেনাবাহিনীরা।

তারা মিথ্যাবাদী, তারা ঘোষণা দিল আমাদের দেশে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে।

এখন দেশ দখল করে তারা বলছে সেরকম কিছুই পাইনি।

কিন্তু সাদ্দাম মিথ্যা বলেনি, আমি এখনো আমাকে করা

আঘাতের চিহ্ন আপনাকে দেখাতে পারি। ইরাক কখনোই মিথ্যাবাদীদের গ্রহণ করেনি আজও করবে না।

আমেরিকার গণতন্ত্র এখানে লজ্জিত হয়েছে, তারা আমার হাত ঘড়িটা পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে গেছে। 

আমি এসব বলছি যাতে করে আপনি তুলনা করতে পারেন।

আর আমার পরনের সুন্নতি জুব্বাটাও ছিড়ে ফেলেছে।

মনে করেছে সাদ্দাম হুসাইনের সম্মানকে ছোট করবে। মনে রাখবেন সাদ্দাম হোসাইন পরনের কাপড় দিয়ে বিবেচিত হয় না।


বরং তাদের এই নির্লজ্জ কাজ তাদেরকে আরও বেশি অপমানিত করল। সাদ্দাম হোসেন আরো বলেন ,

কিছু ছোটলোক আমার কথা শুনে হাসে। ইউ রণার যে কোন

অবস্থায় সে বান্দরদেরকে হাসতে দিন। বনের রাজা সিংহ গাছে থাকা বানরের হাসিতে বিচলিত হয় না,

তাদের হাসতে দিন।

আমাকে দেখুন আমি এ সকল অপদার্থদের মূল্যই দেয় না।

সাদ্দাম হোসেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত ইরাকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করা থেকে সরে দাঁড়াবে না।

মধ্যপ্রাচ্যের তেল জাতীয়করণ করার পেছনে সাদ্দাম হুসাইনের অনেক অবদান রয়েছে। তিনিই প্রথম তেল জাতীয়করণ করেছিলেন এবং একই পথ ধরে বাকি আরব রাষ্ট্রগুলিও তেল জাতীয়করণ করে।

আর এর ফলাফল তেল থেকে প্রাপ্ত মুনাফা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেরাই ব্যবহার করতে পারছে এবং অবকাঠামো গড়ে তুলছে।

এজন্যই বাংলাদেশ থেকে বহু কর্মী মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করার জন্য যেতে পারছে।

একটা সময় এরা কেউ বাংলাদেশের কর্মীরা যেত।

এমনকি আমেরিকা থেকেও কাজ করার জন্য মানুষ ইরাকে যেত।

এখানে ব্যক্তির সাদ্দাম হোসেন খারাপ ছিলেন নাকি ভালো ছিলেন সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে না। বরং তার বলা শেষ কৈফিয়ত গুলো তুলে ধরছি।

২০০৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর ঈদুল আযহার দিনে সাদ্দামকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

ফাঁসির কিছুক্ষণ আগে সাদ্দামকে সব সময় পাহারা দেওয়া আমেরিকান ১২ জন সদস্যের একজন স্টিভ হাচিনসন কে সাদ্দাম তার রেমন ওয়েল ঘড়িটা অনেকটা জোর করেই উপহার দেন।

এবং বলেন এটি যত্ন করে রেখ।

যেই ১২ জন আমেরিকান সৈন্য সাদ্দামের গলায় ফাঁসির রশি পড়িয়েছিলেন, ওই 12 জন সেনার সকলের চোখে পানি চলে আসে।

উইল বার্ডেন তার বইটিতে স্বীকার করেন, ফাঁসি কার্যকর করার পর রকি রজারশন নিজেকেই সাদ্দামের হত্যাকারী ভাবতে থাকেন।

এবং সাদ্দামকে নিজেদের অনেক আপনজন হিসেবে অভিহিত করেন । সাদ্দামের মৃত্যুর পর তার রক্ষীরা অনেকটা শোক পালনের মত অবস্থায় চলে যান।

তারা সবচেয়ে অবাক হয়েছিলেন, সাদ্দামের মৃত্যুর পর উপস্থিতি ইরাকি অনেক মানুষ তার লাশের উপর থুতু চিঠিয়ে ছিল।

রক্ষাকারী দের মধ্যে একজন হাতজোড় করে তাদেরকে তা মানানোর চেষ্টাও করেছিলেন।

সাদ্দামের প্রতি এভাবে অপমান প্রদর্শন করাই, সে ঘটনার পর পরই মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন হাসিনসন।

এবং সেদিনের খুব এখন পর্যন্ত তার মনে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মতোই জলমান। ঘটনার প্রায় ১১ বছর পেরিয়েছে অনেকে হয়তো ভুলেই গেছে সে সময়ের স্মৃতি।

তবে বলেননি সেই 12 জন তরুণ রক্ষাকারী যারা ফাঁসির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়েছিলেন।

এই অকাতিপূর্ণ ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনকে।

আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন

 ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url